বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফ থেকে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে নাফনদীর মোহনা থেকে দুইটি ট্রলারসহ ৬ মাঝিকে আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে গেছে বলে দাবি করা হলেও এই নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপে নিমার্ণ সামগ্রী নেয়া নিষিদ্ধ রয়েছে। সেন্টমার্টিনের কথা বলে এসব নিমার্ণ সামগ্রী মিয়ানমারে পাচারের অভিযোগ উঠেছে ইতিমেধ্যে। এই বিষয় নিয়ে তদন্ত করছেন বিজিবি ও কোস্টগার্ড।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় দিকে ট্রলার মালিক এবং টেকনাফ-সেন্টমার্টিন সার্ভিস বোট মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ জানিয়েছিলেন, তার মালিকানাধীন এসবি রাসেল ও আব্দুর রবের মালিকানাধীন এসবি ফারুক নামে দুটি সার্ভিস ট্রলার রড, বালু ও সিমেন্ট ভর্তি করে সেন্টমার্টিন নেওয়ার সময় মঙ্গলবার দুপুরে নাইক্ষ্যংদিয়া নামক এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে নিয়ে গেছে আরকান আর্মির সদস্যরা। ট্রলার দুইটিতে ছয় জন মাঝিমাল্লা রয়েছেন। ঘটনার পর বিজিবি, কোস্টগার্ড ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
তিনি জানিয়েছিলেন, টেকনাফ স্থলবন্দর সংলগ্ন কেরুনতলী খাল থেকে ট্রলার দুইটি রড, বালু ও সিমেন্ট বোঝাই করেছিল।
কিন্তু সেন্টমার্টিনের কোন প্রকার নিমার্ণ সামগ্রী যাওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয়নি বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী।
তিনি জানান, কেরুনতলী জেটি ঘাটটি উপজেলা প্রশাসন বন্ধ ঘোষণা করেছে অনেক আগেই। ওই ঘাট দিয়ে নিমার্ণ সামগ্রী দ্বীপে নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি।
ট্রলার যোগে নিমার্ণ সামগ্রী সমুহ মিয়ানমারের পাচারের অভিযোগ তুলেছেন স্বয়ং কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা। নিজের না প্রকাশ না করে তিনি বলেন, দ্বীপে নিমার্ণ সামগ্রী নেয়া নিষিদ্ধ। মুলত ট্রলার যোগে এসব নিমার্ণ সামগ্রী পাচার করা হয়েছে। দায় এড়াতে অপহরণ বলে প্রচার করা হচ্ছে। ট্রলার মালিকের সাথে এখন যোগাযোগ করলে পাওয়া যাচ্ছে না। এরা পালিয়ে গেছে।
দ্বীপের এক জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আবদুর রশিদ, আব্দুর রব, ইসমাইল ও জাহাঙ্গীর নামের ৪ জনের সিন্ডিকেট সেন্টমার্টিনের নামে খাদ্য পণ্য ও নিমার্ণ সামগ্রী পাচার করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এবারও ট্রলার ২ টি নিমার্ণ সামগ্রী পাচার করেছে।
এ বিষয় আলাপরে জন্য বিকাল ৪ টায় আব্দুর রশিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
টেকনাফ -২ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এসব ট্রলার যোগে নিমার্ণ সামগ্রী পাচার নাকি ভিন্ন কিছু তা তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে আরাকান আর্মির সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। ট্রলার ২ টি কোথায় তা বের করার চেষ্টা চলছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply